বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমাদের দাঁড়াতে হবে নিজেদের পায়ে: ফখরুল     

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২১ ২২:০৪

নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই সমাবেশ করছে দলটি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের দাঁড়াতে হবে, নিজেদের পায়ে। দেশের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’

বুধবার খিলগাঁও তালতলায় ঢাকায় দলটির পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

এই সমাবেশটি মোহাম্মদপুরের শহীদ পার্কে করার কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। পরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অনুরোধে খিলগাঁওয়ের তালতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই সমাবেশ করেছে দলটি।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বিভাগীয় শহরে ৬টি সমাবেশ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। এরই মধ্যে তিন বিভাগে সমাবেশ করেছে দলটি। বুধবার নিয়ে মোট ৪টি সমাবেশ করল দলটি। আগামী ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আরেকটি সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া ২০ মার্চ চট্টগ্রামে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।

সমাবেশে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে উনারা খুব দ্রুত রেগে যান। কথায় কথায় রাগ করেন এবং যা নয়, তাই বলতে থাকেন। যা বলেন, তার বেশির ভাগই মিথ্যা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। কারণ আমরা জানাতে চাই যে ৫০ বছর আগে যে স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছিল সে যুদ্ধে কাদের অবদান ছিল। আমরা ৭ মার্চ পালন করেছি, কারণ সে দিন একটা জনসভাতে অনুপ্রেরণাময় একটা বক্তব্য ছিল।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলতে চেয়েছি শুধুমাত্র এক ব্যক্তি, গোষ্ঠি, দল কিংবা পরিবারের জন্য স্বাধীনতা আসেনি।’

সমাবেশে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘যখন দেখলাম, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসলেন। এসে বিফ্রিং করলেন, সভা করলেন। তিনি সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে বললেন, অপরাধ না হলে হত্যা হবে না। হত্যা করার অধিকার কে কাকে দিয়েছে? কোনো আন্তর্জাতিক আইনে সভ্য দেশে কাউকে হত্যা করার কোনো বিধান নাই। তাহলে কে অপরাধ নির্ধারণ করবে?’

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস, যাকে আমরা সবসময় বলি ধর্মাবতার, ধর্মের অবতার। অর্থাৎ আল্লাহর পরেই বলা হয় যে বিচারক, যিন সত্যকে ধারণ করবেনি, সত্যের জন্য কাজ করবেন। বলেছেন, ‘লিখা-লিখি করা ভালো, কিন্তু রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট হয়, এটা আমরা কোনো দিন মেনে নেব না।’ আমার প্রশ্ন হচ্ছে অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে হবে, কোন কাজে রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট হয়?’’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যখন লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে মৃত্যুবরণ করতে হয়, কার্টুনিষ্ট কিশোরকে কারাগারে রক্তাক্ত হতে হয়, তার মাথার মধ্যে রক্তপাত হয়, তখন ইমেজ নষ্ট হয় না রাষ্ট্রের? আমরা যখন দেখি আমেরিকাতে ১০ জন সিনেটর চিঠি দিচ্ছে সিনেটে যে, বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়, বিনা বিচারে মানুষকে আটক রাখা হয় , মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় চরমভাবে তখন ইমেজ নষ্ট হয় না?’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারকে কিছু বলতে হয় না। তার আগেই এই নির্বাচন কমিশন বলে দেয় খুব ভালো নির্বাচন হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে, যোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা গঠন করতে হবে।’

সমাবেশে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। নির্বাচনে অনেক অংশ নিয়েছি। তবে ভোটে অংশগ্রহণ করব, যে দিন দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আগামী দিনে আমরা নির্বাচনে যাব, দেশের মানুষের ভোট নিশ্চিত করব।’

‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেন সুচাগ্র মেদেনী’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই দেশে আমরা ইনশাল্লাহ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’

নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে খুন, লুট, চুরি, ডাকাতির কোনো বিচার থেকে আপনারা মাফ পাবেন না। আওয়ামী লীগের বিচার হওয়ার আগে আপনাদের বিচার হবে।’

সমাবেশে সাবেক এই সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন বলেন, ‘সেই রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত ছিল আমার এলাকা ঢাকা-৬ আসন। আমাকে নির্বাচনে ফেল করানোর জন্য এই এলাকা দুইভাগে ভাগ করল সরকার। এই সরকারের দূরভিসন্ধির কোনো সীমা নাই।’

সমাবেশে বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি ছয় সিটি করপোরেশনে দলটির সাবেক মেয়র প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর